ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমন - ভাড়া ও সময়সূচী সম্পর্কে পড়ুন

কক্সবাজার ট্রেন সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করছেন। তাহলে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন । কেননা এ আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি কক্সবাজার ট্রেন,ভাড়ার পরিমাণ ও সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সাথে আর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কক্সবাজার সৌন্দর্য ও কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমন - ভাড়া ও সময়সূচী সম্পর্কে পড়ুন

কক্সবাজার ট্রেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আপনাদের জন্য এ আর্টিকেলটি মধ্যে কক্সবাজারের ট্রেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। কক্সবাজারের ট্রেন ভ্রমন করার আগে আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। আশা করি কক্সবাজার ট্রেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকবেন।

কক্সবাজারের সৌন্দর্য

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সৌন্দর্য সবাইকে মগ্ধ করে।বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরময় স্থান গুলোর মধ্য একটি স্থান হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও প্রকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব ।ভ্রমন, ছুটির দিন পালন বা অবসর সময় কাটানোর জন্য সবচেয়ে উতম জায়গা হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ।এর নীল জলরাশি, সারি সারি ঝাউবন, গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার।সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

কক্সবাজারে অবস্থিত প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ প্রসারিত বালুকাময় সৈকত এবং ফিরোজা-নীল রঙের পানির সৌন্দর্য আকর্ষিত করে সমুদ্র পৃথিবীর পর্যটক প্রেমীদের। শ্বাসরুদ্ধকর সূর্যাস্ত সাথে আছে পরিষ্কার নীল আকাশ এবং মৃদু সমুদ্রের বাতাস সহ সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। যার সৌন্দর্য এককথায় অতুলনীয়।

আর পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণ আসে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। এছাড়াও সাঁতার কাটা, সার্ফিং, সানবাথিং এবং বিচকম্বিংয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের বিনোদন মূলক কর্মকান্ড উপভোগ করতে পারেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু

ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে ০১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে কক্সবাজার রুটে।ঢাকা-কক্সবাজার রুট এর প্রথমে ট্রেন চলাচল শুরু হবে ঢাকা থেকে। ঢাকা রুটের ট্রেনটি চালানো হবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত নতুন কোচ দিয়ে। বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন চলাচল করছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস নামের এই দুইটি বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।

আরো পড়ুনঃ ট্রেন ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে ভারত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে দুটি থাকবে খাবার বগি, একটি পাওয়ার কার, তিনটি এসি কেবিন, পাঁচটি এসি চেয়ার, ছয়টি স্নিগ্ধা ও বাকি গুলো শোভন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ঢাকা থেকে কক্সবাজার এর সড়ক পথের দূরত্ব ৩৯৭.৬ কি.মি. সেখানে  বাসে যেতে নময় লাগে কমবেশি ১০/১১ ঘন্টার মত। বিমানে করে যেতে লাগে ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট কিন্তু ভাড়া জন্য সাধারণ ভ্রমনকারীদের নাগালের বাহিরে। এর জন্য বাংলাদেশ সরকার ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন।   

প্রথমে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও এরপর পর্যটক এক্সপ্রেস নামে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন যা বাংলাদেশ রেলওয়ে পক্ষ থেকে চলাচল করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাবে। বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন যাবে। ১৩০ কি.মি প্রতি ঘন্টা গতিতে ট্রেন চলবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যদিও ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫০ কি.মি প্রতি ঘন্টা। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেললাইন হবে ৫৫১ কিলোমিটার আর ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যেতে সময় লাগবে ৮/৯ - ঘন্টা।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের নাম করন

রেলওয়ের কতৃপ মাধ্যমে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চালু হতে যাওয়া ট্রেন চলাচলের জন্য ০৬ টি ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিলো। প্রস্তাবিত নামের মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামটি নির্বাচন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • কক্সবাজার এক্সপ্রেস
  • প্রবাল এক্সপ্রেস
  • হিমছড়ি এক্সপ্রেস
  • ইনানী এক্সপ্রেস
  • লাবণী এক্সপ্রেস
  • সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস

কক্সবাজার এক্সপ্রেস

কক্সবাজার এক্সপ্রেস বাংলাদেশের কক্সবাজার রুটে প্রথম অন্যতম একটি ট্রেন। এটি পূর্বাঞ্চলের অন্তর্গত একটি নন স্টপ আন্তঃনগর ট্রেন যা ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। এটি কক্সবাজারে সেবা দানকারী সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক রেল পরিবহন।এই রেল সেবার মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের রেল সংযোগ স্থাপিত হয়।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের দোহাজারী কক্সবাজার অংশের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়। এই অংশের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে রেলপথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা করে।

ট্রেনটির জন্য ছয়টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনটিরর নাম করন ও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নাম কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঘোষণা করেন।[২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বরে ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত যা ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে সংযুক্ত করেছে। 

পর্যটক এক্সপ্রেস

পর্যটক এক্সপ্রেস বাংলাদেশের ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে দ্বিতীয় অন্যতম একটি ট্রেন। এটি হলো দ্বিতীয় বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন যা বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অন্তর্গত, এটি ১০ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। এটি দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ট্রেন হিসেবে কক্সবাজারে রেল পরিবহন সেবা দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার অংশের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়। এই অংশের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে রেলপথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস এরপর চালানোর পরিকল্পনা করে।

আরো পড়ুনঃ রাজশাহী টু ঢাকা রুটে ট্রেনের নতুন ভাড়া ও অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম  

১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে কক্সবাজারের প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস চালু হয়।৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে কক্সবাজারে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন ঘোষণা করে।

আর ২ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ঘোষণা করা হয় পর্যটক এক্সপ্রেস ১০ জানুয়ারি ২০২৪ সালে চালু হবে। ট্রেনটি যথাসময়ে চালু করা হয়।এই ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয় যা ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে সংযুক্ত করে ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী

যাত্রা শুরু

সময়

যাত্রা শেষ

 সময়

ঢাকা

রাত ১০:৩০ মিনিট

কক্সবাজার

ভোর ৭:২০ মিনিট

ঢাকা

ভোর ৬:১৫ মিনিট

কক্সবাজার

বিকাল ৩:০০ টায়

কক্সবাজার থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী

যাত্রা শুরু

সময়

যাত্রা শেষ

সময়

কক্সবাজার

দুপুর ১২:৩০ মিনিট

ঢাকা

রাত ৯:১০ মিনিট

কক্সবাজার

রাত ৮:০০ টায়

ঢাকা

রাত ৪:৩০ মিনিট

ঢাকা টু কক্সবাজার আসন বিন্যাসে ট্রেনের ভাড়া

আমরা অনলাইনে ই-টিকিটিং সিস্টেমে (https://eticket.railway.gov.bd) মাধ্যমেই ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনে দৈনিক দুইটি ট্রেন চলবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস। নিচে আসন অনুযায়ী ট্রেনের ভাড়ার দেওয়া হলো ।

আসন বিন্যাস

ভাড়া

শোভন চেয়ার

৬৯৫ টাকা

স্নিগ্ধা

১৩২৫ টাকর

এসি সিট

১৫৯০ টাকা

এসি ব্যর্থ

২৩৮০ টাকা

ঢাকা থেকে কক্সবাজার সাপ্তাহিক ছুটি দিন

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন চলাচল করছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামের এই দুইটি বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল করে। বাণিজ্যিক ট্রেন দুটির সাপ্তাহিক ছুটি দিন।রেলওয়ের সূত্রমতে,রবিবার,সোমবার ও মঙ্গলবার থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে কক্সবাজার রুটে।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। ট্রেনটি মূলত নম্বর ৮১৩/৮১৪ দিয়ে পরিচালিত হয়।কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ৮১৩-এর জন্য সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার ও ৮১৪-এর জন্য সোমবার।

পর্যটক এক্সপ্রেস

পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। ট্রেনটি মূলত নম্বর ৮১৫/৮১৬ দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। হয়। পর্যটক এক্সপ্রেস’ট্রেনটি ৮১৫-এর জন্য সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার ও ৮১৬-এর জন্য রবিবার। 

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের নাম কক্সবাজার। বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু জন্য কক্সবাজার ভ্রমন হয়েছে অনেক সহজ। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য কক্সবাজার এর সুনাম ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে।

সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারের রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এবং বেশ কিছু আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। আর একারণে কক্সবাজারকে পর্যটন নগরী হিসাবে অভিহিত করা হয়।

আরো পড়ুনঃ  বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন ভাড়ার তালিকা-সময়সূচী ও অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে - সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি, সোনাদিয়া দ্বীপ,ছেরা দ্বীপ,রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, দরিয়ানগর, সুগন্ধা বীচ, লাবনী পয়েন্ট, কলাতলী বীচ, ইনানী বীচ, মেরিন রোড, রামু বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালি, আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ইত্যাদি কক্সবাজারের সর্বাধিক দর্শনীয় ভ্রমণ স্থান।

পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণ আসে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। এছাড়াও সাঁতার কাটা, সার্ফিং, সানবাথিং এবং বিচকম্বিংয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের বিনোদন মূলক কর্মকান্ড উপভোগ করতে পারেন।    

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমন-শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল কক্সবাজারের ট্রেন সম্বন্ধে। কক্সবাজারে ট্রেন করা সবার কাছে সপ্নের মত। সাথে আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কক্সবাজার ট্রেন,ভাড়ার পরিমাণ ও সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url