ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনারা কি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কারন এ আর্টিকেল এর মধ্যে বিস্তারিত ভাবে কী ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে ও ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং হলো  অনলাইনে আয় করার অন্যতম মাধ্যম। এটি এমন একটি মাধ্যম যেখান থেকে আমরা ঘরে বসে কাজ করে আয়  করা যায়।যেহেতু এই কাজটি ঘরে বসে করা যায় এবং এটি একটি মুক্ত পেশা তাই এটাকে "ফ্রিল্যান্সিং" বলে সম্বোধন করা হয়।

আবার ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি আলাদা মাধ্যম বা উপায়, যার দ্বারা আপনারা অনলাইন কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।তবে এই ইনকাম করার জন্য আপনাদেরকে সঠিক মাধ্যম ও সঠিক বিষয়ে কাজ শিখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয় করার জন্য প্রথমে একটি স্কিল বেছে নিতে হয় এবং সেই অনুযায়ী কাজের প্রতি নিজেকে দক্ষ করে তোলতে হবে ।অনলাইন আউটসোর্সিং বা আয় করার জন্য অনেক গুলো কাজ রয়েছে যেমন-

ডিজিটাল মার্কেটিং প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডেটা এন্ট্রি,ওয়েব ডিজাইনার,ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, গেইম ডেভেলপমেন্ট এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট উল্লেখযোগ্য।

আরো পড়ুনঃ বর্তমান সময়ে  ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজ সম্পর্কে জানুন

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে সবার প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা চলে আসে।কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ও অনেক ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছে। তাই আমরা বলতে পারি ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম জনপ্রিয় কাজ ডিজিটাল মার্কেটিং।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে ফিল্যান্সিং সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং।ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইনে পণ্য, সেবা প্রচার করা বা বিক্রি করা। অর্থাৎ অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন সার্চ ইঞ্জিল,অফলিট মার্কোটিং, সোশ্যাল মিডিয়া, ই-মেইল সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের পণ্য, সেবা বা ব্যান্ড প্রচার করা।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কাজের চাহিদা আছে।কারণ এটি কম খরচে অনেক গ্রাহকের কাছে প্রচার বা মার্কেটিং করা যায়।এখনকার সময় কম্পিটিশনের তাই যে কোনো ব্যবসা অথবা কোম্পানি অন্যদের থেকে ভালো করতে চাইলে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের অনেক প্রয়োজন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কিছু সাব ক্যাটাগরি রয়েছে কাজ করার জন্য'। যেমন,

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখার উপায়-ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO
  • অ্যাফিলেট মার্কেটিং
  • সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং   

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO

SEO এর পূনরূপ হচ্ছে, search সার্চ, Engine ইঞ্জিন -optimization অপটিমাইজেশন। অর্থ্যাৎ সহজ কথায় বলতে গেলে আমরা যখন গুগল কিংবা অন্য যে কোন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে সার্চ দিই, তখন গুগল কিংবা ঐ সার্চ ইঞ্জিন কত গুলো রেজাল্ট দেখায়।

 সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে আমার কাঙ্ক্ষিত ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে পাই। আর যেই কারণে গুগল অথবা কোন সার্চ ইঞ্জিন ওই রেজাল্ট গুলো দেখায়, সেই কারণ কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

অফলিট মার্কোটিং

অফলিট মার্কোটিং হচ্ছে বিভিন্ন এমন একটি মার্কেটিং স্টারজি বিভিন্ন অনলাইন বিজনেশ গুলো বা ই-কর্মাস সাইট গুলো তাদের এফিলিয়টার নিয়োগ থাকে। এবং অপনি সেখানে as এ ইনফুন্সেসার একটি এফিলিয়ট অ্যাকাউন্ট তেরি করে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি বা সেল করে দিতে পারলে নিদিষ্ট পরিমাণ কমিসন দিবে সে সেল থেকে।এ ভাবে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টের পণ্য, সেবা, ব্র্যান্ড বা ব্যবসা প্রচার করা। আমাদের বেশির ভাগ মানুষই এখন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি প্লাটফর্মে অ্যাকটিভ থাকে।

তাই এখানে যে কোন ব্যান্ড বা পণ্য প্রচার করার সাথে সাথে গ্রাহকরা সে বিষয়ে জানতে পারে।বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর খুব বেশি চাহিদা হওয়ার কারণ খুবই কম খরচে অনেক মানুষের কাছে প্রচার করা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং: ফেসবুক কি তা আজকাল সবাই জানে। আর নতুন ভাবে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।কেননা ফেসবুক হল আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। অনেকেই জানতে চান ফেসবুকের মাধ্যমে কি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম  করা যায়। হ্যা, ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

বর্তমানে ফেসবুকে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.২ বিলিয়ন এর বেশি।তাই ফেসবুকে মার্কেটিং জাতীয় কাজের বড় ধরনের সুযোগ এখানে রয়েছে।ফেসবুকে বর্তমানে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।  তাই আপনার বন্ধু বা ফ্যান অনেক বেশি এ কারণে ফেসবুক আপনাকে টাকা প্রদান করবে না। কিন্তু এই বন্ধু বা ফ্যানকে নির্ভর করেই আপনাকে আয় করতে হবে। মোট কথা ফেসবুকে মার্কেটিং বা প্রচারের কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হবে।

ইউটিউব মার্কেটিং: ইউটিউব এর মাধ্যমে অনেক সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়।ইউটিউব সবার কাছে একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট। বর্তমান সময়ে ইউটিউব এর মাধ্যমে বেশির ভাগ মানুষ কাজ করা শুরু করেছে।ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রচার করে সে গুলো থেকে মানুষ আয় করতে সক্ষম হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৪

ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং: ইন্সটাগ্রাম কি তা আজকাল সবাই জানে। আর নতুন ভাবে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।কেননা ইন্সটাগ্রাম হল আজকের দুনিয়ার অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট। অনেকেই জানতে চান ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে কি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। হ্যা, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

ইন্সটাগ্রামে বর্তমানে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।  তাই আপনার বন্ধু বা ফ্যান অনেক বেশি এ কারণে ইন্সটাগ্রামে আপনাকে টাকা প্রদান করবে না। কিন্তু এই বন্ধু বা ফ্যানকে নির্ভর করেই আপনাকে আয় করতে হবে। মোট কথা ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং বা প্রচারের কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে অনেক রকম কথাবার্তা শুনে থাকি। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই তালিকাতে অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন থাকবে। একটি প্রোডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই একটি সুন্দর ছবির ডিজাইন প্রয়োজন হবে।মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন করেই  ছবিকে সুন্দর করে তোলা হয়।

এ ছাড়াও সুন্দর ব্যানারের প্রয়োজন হবে।তাই যেকোন কোম্পানির মালিক বা মালিক পক্ষ যদি তার প্রোডাক্টের বিক্রির পরিমাণ বেশি করতে চাই তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তাই প্রোডাক্টের মার্কেটিং এডভার্টাইজিং,ক্যাটালগ,বিজনেস কার্ড, ইউটিউব থামনেইল এবং প্রোডাক্ট প্যাকেজিং এ কাজ গুলো একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার করে থাকে ।

বর্তমান সময়ে আপনি যে সেক্টরেই যাবেন সেই সেক্টরেই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ দেখতে পারবেন।  ভিজিটিং কার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যাটালগ ও প্রোডাক্ট প্যাকেজিং  এই সব কিছু এই গ্রাফিক্স ডিজাইনে মাধ্যমে করা হয়েছে। অফলাইন এবং অনলাইন দুই সেক্টরেই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের চাহিদা অনেক।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রায় সমস্ত কোম্পানির দরকার হয়। কোন কোম্পানি যদি কোম্পানির প্রচার করতে চায় তাহলে কোম্পানিকে পোস্টার বা বানার ডিজাইন করতে হয়। বর্তমানে আপনি ফেসবুক, ইন্সট্রাক্রম, টুইটার, ইউটিউব কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে যে অ্যাডভার্টাইজ দেখতে পান প্রায় সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর দ্বারা তৈরি।

উপরের কারণ গুলোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসসহ অফলাইন চাকরিতে অনেক বেশি। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা এনালাইসিস করেন তাহলে দেখতে পাবেন এই ক্যাটাগরিতে প্রত্যেক ঘণ্টার হাজার হাজার কাজ পাবলিশ করা হচ্ছে।

তাছাড়া এই কাজের চাহিদা দিন দিন প্রচুর আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক Graphic Designer আছে যারা প্রত্যেক ঘন্টায় ১৫০ ডলার থেকে ১১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করছে। আর চাকরিতে দক্ষতা অনুযায়ী একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর স্যালারি ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ওয়েব ডিজাইনার

ওয়েব ডিজাইন হলো কোন একটি ওয়েব সাইট দেখতে কেমন হবে এবং সেখানে কি কি ফিউচার থাকবে তার একটি ওয়েব তৈরি করা। একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েব সাইটের আউটলুক, ফ্রন্ট, কালার, ইমেজ, মেনু, টুল বার ইত্যাদি কেমন হবে তা নির্ধারণ করে।ওয়েব ডিজাইন কাজের চাহিদা খুব বেশি। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন শিখে দক্ষ হন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে ক্লায়েন্টের ব্যবসার সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের ওয়েব সাইট তৈরি করতে হয়। এবং একজন ওয়েব ডিজাইনার ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন।ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদা গুলো সব সময় ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস গুলোতে লক্ষ্য করা যায়। কারণ ওয়েব ডেভলপাররা একটি ওয়েব সাইট ক্রিয়েট করে দেওয়ার পর সেটি ডিজাইন করার জন্য একজন ওয়েব ডিজাইনার কে হায়ার করতে হয়। তাই একজন ফ্রিল্যান্সার এর জন্য ওয়েব ডিজাইন এর অভিজ্ঞতা অর্জন করা খুবই প্রয়োজন।

ওয়েব ডিজাইনার স্কিলে জ্ঞান লাভ করার পর একজন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত কাজের অর্ডার পেতে থাকে। কোম্পানি গুলো সব সময় একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার কে খুঁজতে থাকে।কারণ প্রত্যেকটি কোম্পানি তার ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য বদ্ধপরিকর সুতরাং ওয়েব ডিজাইন অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হিসেবে উল্লেখিত রয়েছে সেটি বলার আর কোন অবকাশ রাখেনা। ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইনে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

ওয়েব ডেভলপার 

বর্তমান মার্কেটপ্লেসে যদি আরেকটি চাহিদা সম্পন্ন কাজের কথা বলা হয় তাহলে অবশ্যই ওয়েব ডেভেলপার এর বিষয়টি পরিলক্ষিত হবে। বর্তমানে প্রতি মিনিটে ১৭৫ টার ও বেশি ওয়েব সাইট অর্থাৎ প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ওয়েব সাইট তৈরি হচ্ছে এবং প্রতিবছর এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই থাকবে।

সুতরাং অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সব চেয়ে বেশি এই বিষয়টিতে ওয়েব ডেভলপার অন্তর্ভুক্ত থাকবে এ নিয়ে কোন আর সন্দেহ নেই। একজন কোম্পানি সব সময় চায় তার একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকুক এবং সেই ওয়েব সাইটে তার কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রচার এবং সেলের জন্য নির্দিষ্ট বিষয় গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকুক। আর সে জন্য কোম্পানি মালিক পক্ষকে অবশ্যই একজন ওয়েব ডেভলপারকে হায়ার করতে হয়।

উক্ত ও ফ্রিল্যান্সার বা ওয়েব ডেভলপার কোম্পানির জন্য একটি সুন্দর ওয়েব সাইট তৈরি করে দেন। তাই একজন ফ্রিল্যান্সারের যদি JAVA, HTML, PHP, XML এ গুলো সম্পর্কে ব্যাপক ভাবে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে সে অনেক গুলো অর্ডার কমপ্লিট করতে পারবে।

কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ হল ক্লাইন্ট আপনাকে লেখার বিষয়, সাবজেক্ট, কি ওয়ার্ড এবং লেখার ফরমেট বলে দিবে এবং আপনাকে সেই বিষয়ে ভালো করে গবেষণা করে এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখে দিতে হবে।মূলত কনটেন্ট রাইটিং করা হয় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কনটেন্ট পাবলিশ করার জন্য যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট  থেকে প্রচুর টাকা আয় করা যায়।

কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি হওয়ায় কন্টেন রাইটিং করে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। এবং প্রত্যেকটা কাজের জন্য কনটেন্ট রাইটিং এর বেশ প্রয়োজন রয়েছে। একটি ভালো কনটেন্ট একটি ব্যান্ড ভ্যালু তৈরি করতে পারে এবং গ্রাহকদের খুব সহজেই আকর্ষণ করতে পারে।নসাধারণত বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তিগত ভাবে প্রচার বাড়ানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার দের দ্বারা কন্টেন রাইটিং করে থাকে।

ভিডিও এডিটিং

ভিডিও এডিটিং হলো স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও ক্লিপ, ছবি, সাউন্ড ইফেক্ট, টেক্সট, কালার ইত্যাদি যোগ করে ভিডিও করে আকর্ষণীয় করে তোলা।বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি কারণ ফেসবুক,ইউটিউব ,ইন্সটাগ্রাম টিকটক সহ বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মেতে মার্কেটিং করার জন্য ভিডিও এডিটর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ টিকটক ভিডিও করে ইনকাম করার উপায় 

বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে শর্ট ভিডিও এডিটিং কাজ অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই কাজের চাহিদা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কারণ ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম,টিকটক , টুইটার ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিডিও এডিটিং করেই বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে।এতে করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই বলা যায় ভিডিও এডিটিং করে প্রতি মাসে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।

গেইম ডেভেলপমেন্ট

বর্তমান বিশ্ব জুড়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে ঝাড়ছে ভিডিও গেমের চাহিদা। কম্পিউটারে বা মোবাইলে গেইম খেলে না এমন মানুষ পাওয়া এখন বেশ দুষ্কর। ছোট থেকে বড় সকল বয়সের মানুষ এখন গেইম খেলে। কেউ হয়ত সেটা অনেক বেশি খেলে আবার কেউ হয় কাজের ফাকে ফাকে খেলে গেইমের প্রতি দুর্বলতা কম বেশি সবার ই আছে। এমন বিপুল চাহিদার কারণে গেম ডেভেলপমেন্টের চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপকভাবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক গেমিং বাজারের প্রবৃদ্ধি হার বর্তমান বছর অনুযায়ী ১৩ শতাংশ বেড়ে ২১ হাজার ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধরা হচ্ছে। ২০২০ সালে গেমারদের সংখ্যা ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩০৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধরনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও মোবাইল গেমসের বাজার বড় হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের এ মোবাইল গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন একটিভ প্লেয়ার আছে যারা নিয়মিত নানা ধরনের মোবাইল গেমস খেলছে।

সুতরং বুঝতে পারছেন গেইমের চাহিদা কত বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে যা বেড়ে চলবে। আপনি যদি এই গেইম ডেভেলপমেন্টকে ক্যারিয়ার হিসবে নিতে চান তাহলে এখনই সঠিক সময়।কেননা বর্তমান সময়ে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে গেইম ডেভেলপমেন্টের  ভবিষ্যতে এই কাজের চাহিদা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গেইম ডেভেলপমেন্টকে ক্যারিয়ার হিসবে বেছে নিতে পারেন।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

অ্যান্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের বর্তমান সময়ে স্বর্ণের যুগ।আপনি যদি প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে চান  তাহলে শিখতে পারেন অ্যান্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখলে নিজের বানানো অ্যাপ থেকে Google Admob এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

আবার অ্যাপ সেল করেও ইনকাম করতে পারবেন।কারন বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার কারির সংখ্যা বর্তমানে কমই আছে বরং দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে বাংলাদেশ সহ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অ্যাপ ডেভলপার এর চাহিদা অনেক বেশি। তাই একজন প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভলপার হতে পারলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আপনার জব এর সুযোগ রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম

বর্তমানে সবার হাতে স্মার্ট ফোন রয়েছে। সরাই কম বেশি অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল সব কাজ করে থাকে। তাই ছোট বড় সকল কোম্পানি তাদের সার্ভিসকে কাস্টমারের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে অ্যাপ তৈরি করছে। আপনি যদি ব্যাংক কথা চিন্তা করেন তাখলে দেখবেন, এখন প্রায় সকল ব্যাংক এর মোবাইল আপে রয়েছে এবং আপ থেকে সব কিছু করা যায়।

তাই বলা যায়, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন আরও বাড়বে। আপনি যদি একবার প্রোফেশনাল ভাবে অ্যান্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের সকল কাজ শিখতে বা করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছু ফিরে দেখতে হবে না।আপনি এখান থেকে প্রতি মাসে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি-শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্বন্ধে।আশাকরি আর্টিকেলটি পরে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি জানতে পেরেছেন । এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url