অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ

আপনারা অনেকেই আছেন যারা  অনলাইন মোবাইল লোন সম্পর্কে জানেন আবার যারা অনেকে জানে না।মূলত যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আপনারা যারা অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল লোন নিতে চান বা লোন নেওয়ার কথা চিন্তা করতেছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি পরতে পারেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্টান এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং মাধ্যম রয়েছে যারা মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন লোন প্রদান করে থাকে। তবে, অনলাইন মোবাইল লোনের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী লোন নেওয়া যাই না। বরং এই সকল লোনের ক্ষেত্রে কিছু লিমিট দেওয়া থাকে। যেমন; কিছু মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান আছে যারা ২০ হাজার টাকার বেশি লোন দেয় না। যাইহোক, নিচে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিত দেখে নিন।

পোস্ট সূচিপত্র.

অনলাইন লোন কি?

বাংলাদেশ অনলাইন মোবাইল লোন সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে,প্রথমে আমাদের অনলাইন লোন কি? সেটি জানতে হবে।অনলাইন লোন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। এটি সহজ এবং দ্রুত ঋণ পাওয়ার একটি মাধ্যম। যেখানে ঋণগ্রহীতা তার প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইন ফর্মের মাধ্যমে প্রদান করে এবং যোগ্যতা যাচাইয়ের পর সরাসরি নিজের ব্যাংক একাউন্টে ঋণ পেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি  

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা গুলো অনলাইনে লোন আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।যেখান থেকে আমরা খুব সহজে অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যাংক ও বিকাশ  থেকে টাকা লোন নিতে পারবো।

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ

অনলাইন থেকে মোবাইল এর মাধ্যমে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা লোন প্রদান করে থাকে ও  বেশ কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে। আর এই ধরনের অ্যাপ গুলো থেকে  ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়। তবে তার মধ্যে বিকাশ, ই ঋণ, ব্র্যাক ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক, অন্যতম। সিটি ব্যাংক মূলত বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে লোন প্রদান করে।

অনলাইনে লোন প্রদান করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শর্ত বিভিন্ন ধরনের দিয়ে থাকে। যেমন, বিকাশে মাধ্যমে লোন নিতে হলে অবশ্যই বিকাশের মাধ্যমে বেশি বেশি লেনদেন করতে হবে এবং বিকাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে। এ ভাবে কিছু কিছু মোবাইল ব্যাংকিং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লোন প্রদান করে আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি টাকা লোন প্রদান করে।

বর্তমান সময়ে অনলাইনে লোন পাওয়া খুবই সহজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে হলে প্রথমে নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে।কারণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার পর , সে প্রতিষ্ঠান এর মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর, অ্যাপের ভিতরে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনাকে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর, লোনের অপশন থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। মূলত এই নিয়ম অনুসরণ করেই অনলাইনে মোবাইল ব্যবহার করে লোন নিতে পারেন। এছাড়াও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। 

অনলাইনে লোন আবেদন

লোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট: অনলাইনে লোন আবেদন করতে হলে প্রথমে  একটি বিশ্বসযোগ্য লোন অ্যাপ বা ব্যাংকের ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় অপশন রয়েছে, যেমন bKash,  Dhaka Bank, City Bank, BRAC Bank ইত্যাদি।

আবেদন ফরম পূরণ: লোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট নির্বাচন করার পর নিদিষ্ট একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বর, আয়ের উৎস, এবং কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। যেমন আয়ের প্রমাণপত্র, কর্মস্থলের পরিচয়পত্র, এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

আবেদনপত্র জমা: লোন নেওয়ার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুক্ত করে , আপনার আবেদন ফরম  জমা দিতে হবে।

আবেদন যাচাই: অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর  প্রতিষ্ঠান  কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই করবে। যদি সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে মোবাইল লোন প্রদান করা হবে।

অনলাইনে লোন আবেদনের কাগজপত্র

অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে হলে যে কাগজপত্র গুলো লাগবে তা নিম্নরূপ নিচে দেওয়া হল -

  • রেজিস্ট্রেশনকৃত  মোবাইল নাম্বার
  • এনআইডি বা (জাতীয় পরিচয়পত্র)
  •  আয়কর স্লিপ
  •  টিন সার্টিফিকেট নাম্বার
  • নাগরিক সনদপত্র
  • ব্যবসা করলে তার প্রমাণপত্র
  • চাকুরি করলে তার প্রমাণপত্র

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে লোন অনেক সহজ। কারণ বিভিন্ন ব্যাংক ও অ্যাপ রয়েছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে লোন প্রদান করে থাকে। আর অনলাইন থেকে লোন নেওয়ার দুটি উপায় রয়েছে বা আমরা সাধারণত অনলাইন থেকে দুই ভাবে লোন পেতে পারি তা হলো-

  • ব্যাংক থেকে অনলাইন মোবাইল লোন 
  • বিকাশ থেকে অনলাইন মোবাইল লোন

ব্যাংক লোন  অনলাইন মোবাইল 

ব্যাংক থেকে অনলাইনে নিতে হলে সবার আগে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে আবেদন ফরম  পূরণ করে আপনি অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ।নিচে কয়েকটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হলো যে গুলো থেকে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন।

ঢাকা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ঢাকা ব্যাংক কর্তৃক অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে সহজেই লোন এ্যাপ্লাই করতে পারেন। eRin অ্যাপের মাধ্যমে প্রয়োজনিয় কাগজপত্রের মাধ্যমে ঝামেলা মুক্ত ভাবে এই লোন পেতে পারেন। ঢাকা ব্যাংক অনলাইনে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা লোন দিয়ে দিয়ে থাকে। লোন পরিশোধের মেয়াদ ৩-৬ মাস যা সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। ঢাকা ব্যাংক অনলাইন মোবাইল লোন এর বাৎসরিক সুদের হার  শতকরা ৯% হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ প্রশিকা এনজিও লোন | উদ্দীপন এনজিও লোন

eRin অ্যাপের মাধ্যমে যারা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন-

  • বাংলাদেশ অবস্থানরত সকল নাগরিকই eRin অ্যাপে মাধ্যম আবেদন করতে পারবেন।
  • সর্বনিম্ন ২১ বয়স সীমা হতে হবে।
  • মাসে নূন্যতম আয় থাকতে হবে ১০ হাজার টাকার বেশি।

উপরের সব শর্ত গুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলে সহজেই eRin অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইনে মোবাইল লোন এর জন্য আবেদন করে সহজেই লোন পেতে পারেন।

eRin অ্যাপে আবেদনের জন্য প্রয়োজনী ডকুমেন্ট-

  • আবেদনকারির জাতীয় পরিচয়পত্র
  • আয়ের প্রমানপত্র
  • ঠিকানার প্রমাণসহ ও নাগরিক সনদপত্র
  • আবেদনকারির সামাজিক কোন যোগাযোগ মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুক/গুগল একাউন্ট থাকা লাগবে।
  •  সর্বপরি ঢাকা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে।

উপরোক্ত বিষয় গুলো ঠিকঠাক থাকলে অফিস চলাকলিন বৃহস্পতিবার হতে রবিবারের মধ্যে এই আবেদন করা লাগে এবং আপনার আবেদনটি ঠিকঠাক থাকলে মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে তারা আপনাকে রেসপন্স করবে এবং লোন অনুমোদ দিবে।

সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক প্রয়োজনের জন্য লোন নেওয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিটি ব্যাংক। আর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে সিটি ব্যাংকের লোন পেতে পারেন।

সিটি ব্যাংক মূলত City Touch অ্যাপসের মাধ্যমে লোন প্রদান করে থাকে। এ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। তারপর অ্যাপস এর মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে এবং লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে  প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ জমা দিতে হয়। 

আমাদের দেশের অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সিটি ব্যাংকের সুদের হার কম সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার সর্বনিম্ন ৯% এবং অন্যান্য লোনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২%।

City Touch অ্যাপের মাধ্যমে যারা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন-

  • বয়স: ২১ থেকে ৬০ বছর
  • মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার উপরে হতে হবে।
  • চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী হতে হবে
  • City Touch অ্যাপে আবেদনের জন্য প্রয়োজনী ডকুমেন্ট- 
  • NID কার্ডের কপি
  • আয় প্রমাণপত্র (বেতন স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি)
  • চাকরির প্রমাণপত্র (কোম্পানির নথি, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি)
  • সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি

ব্র্যাক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক আপনি ঘরে বসে ‘সুবিধা’ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই লোন নিতে পাবেন। সুবিধা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হলে আপনার মোবাইল ফোন থেকে প্লে-স্টোরে সার্চ করুন BBL Shubidha । তারপর অ্যাপসটি ডাউনলোড করে অ্যাপসের মধ্যে লগইন করে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন 

 ব্র্যাক ব্যাংক  মূলত  BBL Shubidha অ্যাপসের মাধ্যমে লোন প্রদান করে থাকে। এঅ্যাপটি ডাউনলোড এবং ইন্সটল করে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করুন। তারপর অ্যাপস এর মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে এবং লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে  প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ জমা দিতে হয়। 

BBL Shubidha অ্যাপের মাধ্যমে যারা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন-

  • ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার ছবি
  •  ঠিকানা ভেরিফিকেশন করতে হবে
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • অবশ্যই ব্র্যাক ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।

সম্পূর্ণ ধাপ ঠিকঠাক থাকলে ব্যাংক কর্মদিবসের মধ্যে আবেদন করলে আপনি ৩০ দিনের মধ্যে লোন পাবেন। ব্যাংক ইন্টারেস্ট দিতে হবে শতকরা ৯%।

বিকাশ লোন অনলাইন মোবাইল 

বর্তমান সময়ে আমারা প্রায় সবাই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে বিকাশ থেকে  কিভাবে লোন পাওয়া যায়। বিকাশ অ্যাপের  ব্যবহার করে খুব সহজেই  লোন নেওয়া যায়।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

  • বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিতে হলে প্রথমে বিকাশের অ্যাপটি ডাউনলোড  লগইন  করতে হবে।
  • তারপর হোমপেজ থেকে লোনের অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর নিচের Get Loan অপশনে ক্লিক করে কত টাকা লোন নিবেন তার পরিমাপ দিতে হবে এবং Proceed অপশনে ক্লিক  করতে হবে।।
  • এরপর সকল তথ্য একবার দেখে নিয়ে আবার Proceed অপশনে ক্লিক করতে হবে।।
  • তারপর Accept বাটনে ক্লিক কর বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে Get বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা যোগ হয়ে যাবে।

মূলত  উপরের এই নিয়মে  বিকাশ থেকে লোন নিতে হয়। কিন্তু বিকাশ নিজেই সরাসরি লোন প্রদান করে না সিটি ব্যাংক বিকাশের মাধ্যমে এই লোন দিয়ে থাকে। এছাড়াও, বিকাশ সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে। কিন্তু সবাইকে ২০ হাজার টাকা লোন দিবে বা পাবে সেটা কিন্তু নয়।

আপনি বিকাশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবেন সেটি নির্ভর করবে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের টাকা লেনদেন করার উপরে। যেমন বিকাশ থেকে অনেকেই আছে যারা  সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারে আবার অনেকে আছে যারা ১০ হাজার বা ১৫ হাজার টাকা লোন নিতে পারে।

পূর্বেই বলা হয়েছে বিকাশে লোন নেওয়ার জন্য কিছু লিমিট রয়েছে। যেমন চাইলেই সবাই  বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবে না। কারণ  বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য একজন যোগ্য বাবহারকারী হওয়া লাগবে। এর জন্য বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট ও অ্যান্ড মানি বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে এবং অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা থাকতে হবে। তাই উপরের কথা গুলো থেকে বুঝা যায় সবাই চাইলেও সবাই বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবে না।

আপনি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা বোঝার জন্য আপনি যখন বিকাশের লোন অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে লোনের পরিমাণ দেখানো হবে। আর আপনি যদি লোন নেওয়ার জন্য যোগ্য না হন তাহলে আপনাকে একটি মেসেজ দেখানো সেটি হল "দুঃখিত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লোন প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট এখনও লোন সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত না।" যখনি এই লেখাটি দেখবেন তাহলে বুঝে নিবেন আপনি বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য  যোগ্য বাবহারকারী না।

অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা

অনলাইনে লোন এর জন্য আবেদন করে আপনি খুব সহজেই লোন পেতে পারেন। অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা গুলো অনেক। এটি দ্রুত এবং সহজ প্রক্রিয়া যার ফলে মানুষ স্বল্প সময়ে আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন। অনলাইনে মোবাইল লোনের প্রধান সুবিধা গুলো হলো-

 আরো পড়ুনঃ সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ

  • মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজে আবেদন করা যায় ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক-আপনি ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের মোবাইল লোনের বিকল্প রয়েছে, তাই আপনার চাহিদা অনুযায়ী বেছে নেওয়া সহজ।
  • অনলাইন মোবাইল লোনের সুদের হার তুলনামূলক ভাবে কম।
  • অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে লোন দেয় এমন একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। যেমন, জনপ্রিয় একটি লোন অ্যাপ হচ্ছে bKash।
  • অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর, আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। এরপর, আপনার পছন্দের মোবাইলটি নির্বাচন করে লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
  • যদি আপনার লোনের আবেদনটি অনুমোদিত হয় তাহলে লোনের টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। 

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ-শেষ কথা

আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে। সাথে আরও আলোচনা করেছি ব্যাংক/ আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কি ভাবে অনলাইন মোবাইল লোন নিবেন ও বিকাশ থেকে কি ভাবে অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়া যায়।

আশাকরি আজকের পোস্টটি পরে অনলাইন থেকে মোবাইলে লোন কি ভাবে নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url