মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আপনারা কি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।কারন এ পোস্টটি এর মধ্যে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কি ভাবে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায় ও কি ভাবে কাজ শুরু করবেন।এ ছাড়াও মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার বিস্তারিত উপায় জানোর চেষ্টা করেছি।
বর্তমান সময়ে টাকা ইনকামের অনেক সুযোগ রয়েছে বিশেষ করে অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে।সাধারণ ছাত্র থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী অথবা গৃহিণী যে কেউ সহজেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং দক্ষতা থাকেতে হবে। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব কিছু কার্যকর উপায় এবং কৌশল যা আপনাকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সহায়তা করবে।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমান কার অনলাইনে যুগে আমরা অনেকেই চেষ্টা করে থাকি যদি অনলাইন থেকে কোন ভাবে ইনকাম করা যেত তাহলে আমাদের জীবনটা অনেকটাই সচ্ছল হয়ে যেত। কিন্তু অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কিছু স্কিল প্রয়োজন পড়ে। যে সকল স্কিল আমাদের মধ্যে না থাকার কারণে আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারি না।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ২০টি উপায়
আবার দেখা যায় অনেকে স্কিল থাকা সত্ত্বেও অনলাইন থেকে আয় করতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে কাজ করতে যেয়ে আমরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলি বা সঠিক গাইড লাইনের অভাবে করতে পারিনা।তাই বন্ধুরা আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে অনলাইনে প্রতিটি কাজ অনেক ধৈর্য সহকারে করতে হয়। তাহলে চলুন মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা -
- ফ্রিল্যান্সিং
- ব্লগিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- গ্রাফিক ডিজাইনিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব চ্যানেল
- অনলাইন কোর্স বিক্রি
- কনটেন্ট রাইটিং
- ফটোগ্রাফি
- ট্রান্সলেটর
- সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার
- ওয়েবসাইট ফ্লিপিং
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইনে আয় করার অন্যতম মাধ্যম।এটি এমন একটি মাধ্যম যেখান থেকে আমরা ঘরে বসে কাজ করে আয় করা যায়।যেহেতু এই কাজটি ঘরে বসে করা যায় এবং এটি একটি মুক্ত পেশা তাই এটাকে "ফ্রিল্যান্সিং" বলে সম্বোধন করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং করার একটি অন্যতম উপায় হলো আপনার কোন নিজের ক্ষেত্রে দক্ষতা রয়েছে তার একটি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠা। আপনি একজন শ্রেষ্ঠ কম্পিউটার প্রেমী হতে পারেন, বা গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হতে পারেন, অথবা আপনি গানে বা লেখাপড়ায় উচ্চ দক্ষতা প্রদর্শিত করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক options বা কাজ রয়েছে। আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার, এসইও এক্সপার্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ট্রান্সলেটর, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভিডিও এডিটর হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় আয়ের উপায় যা এখন দিনের দিনে আরও বেশী প্রচলিত হচ্ছে। এটি মূলত আপনাকে আপনার সময় অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ দেয়। আপনি যদি নিজের সময় এবং কাজের নির্দিষ্ট নিদার্শন না হয়ে একেবারে স্বয়ংক্রিয় হতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত উপকারী উপায় হতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং অনেক ধরনের কাজের সুযোগ দেয়, যেমন ব্লগ লেখা, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, লেখাপড়ার উপর ভিত্তি করে। আপনি নিজের দক্ষতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী যে কোনো কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এই কাজ গুলো করে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয়
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্লগিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।কিন্তু এটি মূলত নির্ভর করে ব্লগের নিশ, কন্টেন্ট, গুণমান, এবং দর্শকদের সংখ্যার উপর। সাধারণত, একটি ব্লগ থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার পেজ ভিউ থাকা প্রয়োজন।
প্রতি পেজ ভিউয়ের জন্য যদি গড়ে আপনি ০.৫ থেকে ০.৯০ ডলার করে পান তাহলে ৫০ হাজার পেজের ভিউ থেকে ইনকাম হবে ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে প্রতি পেজ ভিউয়ের ইনকাম নির্ভর করবে ব্লগের নিশ, বিষয়বস্তু, এবং বিজ্ঞাপনের ধরণের উপর। এখানে আমি যে ইনকামের কথাটি বলেছি সেটি হলো গুগল এডসেন্স অ্যাপ এর মাধ্যমে মনিটাইজেশন করার ক্ষেত্রে।
এছাড়া যদি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে ৫০ হাজার পেজের ভিউ বেশি বা ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম আরো অনেক বেশি হবে।এভাবে ঘরে বসে শুধুমাত্র ব্লগিং করে লাখ টাকা ইনকাম করছে এমন মানুষের সংখ্যা ও অনেক আছে।ব্লগিং এমন একটি কাজ যেখান থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক নিস নির্বাচন এবং কন্টেন্টের উপর প্রবল মনোযোগ দিতে হবে।
মূলত আপনি ব্লগিং পেশায় যেমন ইনকাম করতে পারবেন তেমনি ব্লগিং করার জন্য ধর্য্য ধারণ ও পরিশ্রম করতে হবে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।যদি একবার কষ্ট করেন তাহলে আজীবনের জন্য লাভবান হওয়ার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো ব্লগিং ।
মূলত আপনি বর্তমান সময় থেকে আগামী ৬ মাস বা ১ বছর ব্লগিং করার জন্য নিজের সময় ব্যয় করেন তাহলে এ সময়ের মধ্যে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায়।
আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করা হচ্ছে আপনার জীবনের উপযুক্ত উদ্যোগ বলা যেতে পারে।কারণআপনি জেনে অবাক হবেন যে একজন আর্টিকেল রাইটারের কাছে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা বড় কোনো ব্যাপার নয়। হোক আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটার কিংবা ইংরেজি। আপনি উভয় ভাবেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনাকে বেশ কিছু স্ট্রেটেজি অনুসরণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 2024
একজন আর্টিকেল রাইটার হয়ে উঠতে আপনাকে বেশ পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে। সে বিষয়ে সুন্দর করে আর্টিকেল লিখার স্কিল থাকতে হবে। নিজের আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে।এভাবে সঠিক নিয়মে কাজ করলেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যাই হোক,আর্টিকেল রাইটার হিসেবে মাসে যদি ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনাকে নিজের সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে অথবা বিভিন্ন সসাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আর্টিকেল রাইটার হিসাবে জব করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনার এসিও করে আর্টিকেল তৈরি করতে হবে জেন গুগলে প্রথম পেজে জেন রাঙ্ক করে।
আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করার জন্য নিজের একটি সিভি এবং পোর্টফলিও গড়ে তুলতে পারেন। তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন (Upwork, Fiverr, Freelancer) এ প্রোফাইল গড়ুন এবং এখানে গিগ উপস্থাপন করতে হবে।এরপর আপনার কাছে যে অর্ডার আসবে সে গুলো ভালোভাবে তৈরি করে সাবমিট করুন। এভাবে মাসে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইনিং করে আয়
গ্রাফিক ডিজাইনিং বলতে সাধারণত একটি সুন্দর দৃশ্য বা ছবি তৈরি করার প্রক্রিয়া। গ্রাফিক ডিজাইনিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেতাদের তথ্য দান করতে পারেন, চিত্র গল্প বা ভিডিও সামগ্রী উপস্থাপনা করতে পারেন এবং আপনার ব্র্যান্ড ও পণ্যের জন্য আকর্ষক ও ইউনিক ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।
আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজটি নিজে অনলাইনে শুরু করতে পারেন ।কারণ বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ও প্রচুর চাহিদা ও ডিমান্ড রয়েছে।একজন গ্রাফিক ডিজাইনার অনেক ধরনের কাজ যেমন পোস্টার বিজ্ঞাপন পেজ তৈরির করার কাজ করে থাকেন।
কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করতে হলে কম্পিউটার বিষয়ে ফুল দক্ষতা ও ধারণা থাকতে হবে। এজন্য গ্রাফিক ডিজাইনিং কাজ শিখতে পারেন এবং কাজ শিখে প্রতি মাসে এটাকে পেশা হিসেবে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ব্যাপক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করে মাসে খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন থেকে টাকা আয় করার একটি জনপ্রিয়, লাভজনক এবং প্রমাণিত পদ্ধতি।এই পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য যেকোন কোম্পানির প্রোডাক্ট, পণ্য বা পরিষেবা বিজ্ঞাপন করে তা বিক্রি করতে সাহায্য করেন।
মনে করেন আপনি কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট পরিষেবার বিজ্ঞাপন করে ক্রেতাদের উৎসাহিত ও ধারনা নিতে সহায়তা করেন।আপনি ঘরে বসে থেকেই বিভিন্ন কোম্পানির product বা service গুলোর promotion করিয়ে দিয়ে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
এভাবে যখন বিভিন্ন জনপ্রিয় ই-কমার্স ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট গুলোর প্রচার করতে হবে।যখন আপনার মাধ্যমে তাদের পণ্য গুলো মানুষরা কিনবে, তখন প্রতিটি sell এর বিনিময়ে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।আর যদি আপনার বিজ্ঞাপন দেওয়ার কারণে বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট সেল হয় তাহলে প্রতি মাসে আপনি ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় উপায় যা মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সাহায্য করে। এটি এমন একটি ব্যবসায়িক উপায় যেখান থেকে আপনি ঘরে বসেই মাসে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয়
বর্তমান সময়ে সব চেয়ে জনপ্রিয় ও সবার কাছে পছন্দের সোশ্যাল যোগাযোগ মিডিয়া প্লাটফর্ম হল ফেসবুক। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ রাত-দিন 24 ঘন্টা ফেসবুকে কাজ না থাকলে টাইম পার করে থাকে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না ফেসবুকে কাজে লাগিয়ে মাসে টাকা ইনকাম করা যায়।
ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য বলতে বুঝায়, নিজের কন্টেন্ট দিয়ে সরাসরি ফেসবুক থেকে ইনকাম করা। এটা হতে পারে ফেসবুক পেজ থেকে বা ফেসবুক আইডি থেকে নিজের একটি পার্সোনাল একাউন্ট খুলে ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে বিদেশি ডলার ইনকাম করতে পারেন।
আবার অন্যান্য উদ্দেশ্য বলতে আপনি ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ তৈরি, ফেসবুক মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়, ফেসবুকে ইভেন্টের মাধ্যমে টাকা আয়, ফেসবুক মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, পেজ সার্ভিস ইত্যাদি করে ২০ হাজার টাকা আয় করা কোন ব্যাপারই না।
আমার মতে আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখে থাকেন তাহলে ফেসবুকে মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।তাই সঠিক ভাবে ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ফেসবুকে অযথা টাইম পার না করে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে ফেসবুক থেকে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করুন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়
বর্তমান সময়ে ইউটিউব হলো অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাধ্যম। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে টাকা আয় করা যায়। এজন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে ও এখানে নতুন নতুন ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে এবং viewers এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা খুবই সহজ। কিন্তু এটিকে পেশা (profession) এ রূপান্তরিত করতে প্রচুর সময়, ধৈর্য এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন।বড় বড় ইউটিউবার-রা তাদের ইউটিউব চ্যানেলকে জনপ্রিয় করতে এবং ইউটিউবকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে বছরের পর বছর শ্রম দিয়েছেন।আর এখান থেকে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করছেন।
আরো পড়ুনঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজ সম্পর্কে জানুন
এছারা আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন, আমার তো ভালো ক্যামেরা, লাইটিং এসব কিছু নেই তাহলে আমি কি ইউটিউবে ভিডিও বানাতে পারব না?অবশ্যই পারবেন।ইউটিউবে ভিডিও বানানোর জন্য আপনার DSLR ক্যামেরার প্রয়োজন নেই। আপনার হাতে স্মার্টফোনের ক্যামেরার সাহায্যে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করতে পারেন ও ভিডিও গুলো চ্যানেলে upload করতে পারবেন।
কিন্তু ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। আর সে গুলো হলো লাস্ট ১২ মাসের মধ্য আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইব ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইমের প্রয়োজন হবে। তবেই আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য উপযুক্ত হবেন।যদি আপনি একটু পরিশ্রম করে কাজ করেন তাহলে এ শর্ত গুলো পূরণ করতে পারবেন ও মাসে ইউটিউব থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়
অনলাইন কোর্স বিক্রি করা একটি অন্যতম উপায় যার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা সহজেই ইনকাম আয় করা যেতে পারে। অনলাইন কোর্স বিক্রির করতে হলে একটি সঠিক প্ল্যাটফর্ম ও দক্ষতা প্রয়োজন। যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি সেটা অন্যদের অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শেখাতে পারেন।এজন্য আপনার কোনো ডিগ্রি অর্জন অথবা শিক্ষক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
যেকোনো টপিক সম্পূর্ণ details সহকারে ব্যাখ্যা করে আপনি নিজের ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং অল্প কিছু ভিডিও বলতে ১০ থেকে ১ টি ভিডিও এর মাধ্যমে পুরো টপিক শেষ করতে পারেন।এক্ষেত্রে আপনাকে এমনভাবে নিজের ভিডিও গুলো তৈরি করতে হবে, যাতে লোকেরা কোনো নির্দিষ্ট টপিক অত্যন্ত ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং শিখতে পারে।
যদি আপনি অনলাইন কোর্স তৈরতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে কোর্সের জন্য একটি website তৈরি করতে পারেন। সেখানে আপনার কোর্স গুলো আপলোড ও সাজিয়ে রাখতে পারেন এবং অনলাইন কোর্স বেচার জন্য একটি বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।এভাবে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং করে আয়
কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করা হচ্ছে আপনার জীবনের উপযুক্ত উদ্যোগ বলা যেতে পারে। কারণ আপনি জেনে অবাক হবেন যে একজন কনটেন্ট রাইটারের কাছে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোনো ব্যাপার নয় খুব সহজেই ইনকাম করা যায়।
হোক আপনি বাংলা কনটেন্ট রাইটিং করেন কিংবা ইংরেজি। আপনি উভয় ভাবেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনাকে বেশ কিছু মাধ্যম অনুসরণ করতে হবে।
একজন কনটেন্ট রাইটার হয়ে উঠতে হলে আপনাকে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। কেননা কনটেন্ট রাইটার হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে ও সুন্দর মত উপস্থাপনার করার স্কিল থাকতে হবে। নিজের টোনে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে।
যাই হোক কনটেন্ট রাইটার হিসেবে মাসে যদি ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনার নিজের বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে পারেন বা কনটেন্ট রাইটার হিসাবে জব করতে পারেন।
এভাবে যে কোন বিষয়ে সুন্দর করে কনটেন্ট লিখার স্কিল থাকতে হবে যেন কনটেন্ট লিখার মাধ্যমে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে এবং আপনার কনটেন্ট গুলো সবাই পরে বা দেখে ।এভাবে সঠিক নিয়মে কাজ করলেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাপ ডিজাইনার করে আয়
টাকা ছাড়া অনলাইনে অর্থ ইনকামের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাপ ডেভেলপার (mobile app developer) বা অ্যাপ ডিজাইনার করা।গত কয়েক বছর ধরে, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বিশেষজ্ঞ এবং যারা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস বা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে নিযুক্ত রয়েছেন তাদের কাজের চাহিদা অনেক বেশি।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z (গাইডলাইন)
বর্তমান সময়ে ফাইভার এর মতো ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার পোর্টফোলিও শেয়ার করতে পারেন এবং অ্যাপ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ পেতে পারেন।কারণ মার্কেটপ্লেসে এই কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।তবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে একজন অভিজ্ঞ App developer এবং designer হয়ে উঠতে হবে।অ্যাপ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়-শেষ কথা
মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে।এটি বর্তমান যুগের অন্যতম লাভজনক এবং উন্নয়নশীল ক্ষেত্র।আপনি যদি এই ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা, গবেষণা, এবং দক্ষতা নিয়ে কাজ করেন,তাহলে আপনি সফল ভাবে আয় করতে সক্ষম হবেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে অথবা আরও বিস্তারিত কোনো বিষয় জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url