গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৫

  

আপনারা অনেকেই আছেন যারা নিজের ব্যবসা বা নতুন বাড়ি নির্মাণ ও বিভিন্ন কাজ করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন? বা জানতে চাচ্ছেন গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এ মধ্যে আর্টিকেলে আমরা জানবো গ্রামীণ ব্যাংক কি ভাবে লোন দেয় বা লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে এবং সুদের হার কত বিস্তারিত তথ্য?

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৫
গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে পরিচিত, যা দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে। তাদের মাইক্রোফাইন্যান্স বা ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করে। গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতির মূল ধারণা হলো ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ করে দেওয়া, যাতে তারা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।

সুতরাং, আপনার যদি গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে ও সুদের হার সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক এবং আরও অনেক কিছু জানতে আমাদের সাথে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র.

গ্রামীণ ব্যাংক

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ে Grameen Bank বাংলাদেশের একটি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা যারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষক, মহিলা এবং অন্যান্য শ্রেণিপেশার লোকজনদের ক্ষুদ্রঋণ সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ব্যাংক। গ্রামীন ব্যাংক বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংক গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক। যা ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন স্যার ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। যিনি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে জন্য, গ্রামীণ ব্যাংকের বদৌলতে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। গ্রামীণ ব্যাংক এর লোন মূলত গ্রামীণ এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, কৃষক ও বিদেশগামী ভাইদের সহায়তা করার জন্য প্রদান করা হয়।

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি 

আমরা গ্রামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ও পদ্ধতি জানার আগে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আসলে কারা কারা লোন পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নিই।

গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ প্রকল্পের বেশির ভাগ দেশের যে কোনে নাগরিকই পেতে পারেন। তবে কিছু কিছু ঋণ আছে যে গুলো শুধুমাত্র নারীর নিতে পারবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আবার গ্রামীণ ব্যাংক প্রবাসীদেরকেও ঋণ দিয়ে থাকে। তবে স্থান ভেদে শর্ত গুলো আলাদা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন ফরম জমা দেওয়ার পর সবকিছু যাচাই বাছাইয়ের পরে ঠিক থাকলে আপনি লোনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।নিচে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার নিকটস্থ গ্রামীন ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে তাদের সদস্য হওয়ার জন্য। লোনের জন্য আবেদন করতে সম্পত্তি এবং আয় এর সঠিক প্রমানপত্র প্রয়োজন হবে। আপনাকে নিচের লিখত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে।

  • গ্রামীন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন ফরম কি সংগ্রহ করুন এবং ফরমটি সঠিক ভাবে পূরন করুন। 
  • এরপর  আপনার এনআইডি কার্ডের বা জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল তথ্য প্রদান করুন।  
  • তারপর আপনার বর্তমান ও স্থায়ী  ঠিকানার তথ্য প্রদান করুন।  
  • এরপর  আপনায় আয় সহিত কাগজপত্র যেমন- বেতন স্লিপ, আয়কর সনদ ইত্যাদির প্রমান পত্র প্রদান করুন।  

  • তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা কাগজপত্র গুলো যোগ করে পুনরায় ফরমটি ব্যাংকে জমা করুন।

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোনের জন্য আবেদন করার পর আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  গুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাই-বাছাই করার পর যদি সব কিছু টিকটাক থাকে তাহলে আপনাকে লোনের টাকা নেওয়ার জন্য তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

এই ভাবে, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। এটি আপনার আর্থিক ও স্থিতি প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারের লোনের জন্য একটি সুযোগ সুবিধা হতে পারে। তবে, আপনার লোনের জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত করতে আপনার আয়, সম্পত্তি এবং অন্যান্য আবশ্যক তথ্যের প্রমাণ করতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রকারভেদ

গ্রামীণ ব্যাংক কয় ধরণের লোন প্রদান করে থাকে বা লোন পদ্ধতি গুলো কি কি? নিচে সে গুলোর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো-

গ্রামীণ ব্যাংকলোন মূলত বিভিন্ন ধরণের লোন প্রদান করে থাকে । যেমন, লোন পদ্ধতি গুলো হচ্ছে-

  • ক্ষুদ্র লোন
  • কৃষি লোন
  • পশুসম্পদ লোন
  • হাউজিং লোন  
  • শিক্ষা লোন

গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র লোন 

গ্রামীণ ব্যাংক এর প্রাথমিক লোন তাদের সব থেকে একটি জনপ্রিয় লোন পদ্ধতি, ক্ষুদ্র লোন। যার মাধ্যমে ক্ষুদ্র, মাজারি ব্যবসায়ী ও ছাত্র-ছাত্রীদের লোন দিয়ে থাকে, যেমন –  মৌসুমি লোন বা গরু পালন লোন, শিক্ষা লোন, ও স্যানিটেশন লোন ইত্যাদি।

  • মৌসুমি লোন বা গরুর লোনের  জন্য ৫০ হাজার ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই লোন ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।  মূলত এই লোনটি মাসে বা সপ্তাহে কিস্তির মাধ্যমে পরিসোধ করা হয় না। লোনটি নেওয়া হয় ৬ মাসের মেয়াদে ছয় মাস পূরণ হলে এই টাকা একসাথে পুড়ো পরিসোধ করতে হয়, এবং তার সাথে সুদ প্রদান হয়। 
  • স্যানিটেশন লোন ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই লোন ১ বছরের মধ্যে পরিসোধ করতে হয়। 
  • শিক্ষা ঋণের জন্য ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে, যা এক বছরের মধ্যে পরিসোধ করতে হয়। 

গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি লোন 

কৃষি ঋণ গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কৃষকদের জন্য প্রদান করা লোন, যা উন্নত কৃষি প্রকল্পে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। কৃষি ঋণের সুদের হার খুবই কম এবং এটি দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে, সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য। ঋণটি পেতে হলে কৃষকের নিজস্ব জমি, কৃষি কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আপনি যদি যে কোন ধরনের বাবসা বা খামার করতে চান অথবা গরুর খামার করতে চান তাহলে গ্রামীণ ব্যাংক বিশেষ লোনের মাধ্যম আপনাকে ২ লাখ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিবে। আর এে বিশেষ লোন ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে পরিসোধ করতে হয়। 

গ্রামীণ ব্যাংক পশুসম্পদ লোন

গ্রামীণ ব্যাংকের পশুসম্পদ লোন অত্যন্ত সহজ এবং প্রক্রিয়ায় অনুমোদন প্রাপ্ত করা যায়। কারণ গ্রামীণ এলাকার কৃষকদেরকে তাদের পশু ক্রয়, উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য যে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে পশুসম্পদ ঋণ নেয়া সুযোগ রয়েছে। এই পশুসম্পদ ঋণ প্রদান করে গ্রামীণ ব্যাংক কৃষকদের পশুপালনে সাহায্য করে। যা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ম ২০,০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০,০০০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে।

গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং লোন  

গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮৪ সালে একটি হাউজিং লোন প্রোগ্রাম চালু করে। গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং লোন পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি স্থায়ী আয়ের উৎস থাকা জরুরি। লোনের জন্য আবেদন করার আগে ব্যাংকের শর্তাবলী এবং সুদের হার ভালো ভাবে যাচাই করতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত ক্রেডিট স্কোর, আয় এবং সম্পত্তির নথি যাচাই করে থাকে। সময় মতো লোন পরিশোধ না করলে জরিমানা বা আইনগত পদক্ষেপ হতে পারে। যাই হোক একটি সাধারণ টিনের ছাদের ঘর নির্মাণের জন্য হাউজিং লোনের সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা দিয়ে থাকে। ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং হাউজিং লোন এর পরিশোধের ব্যবস্থা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে 

গ্রামীণ ব্যাংক  শিক্ষা লোন

গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা লোন এক ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। যা গ্রামীণ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার খরচ যত্ন করতে সহায়তা করে করে। এই লোনের মাধ্যমে তারা তাদের শিক্ষা খাতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রাপ্ত করতে পারে, যা সমৃদ্ধি এবং উন্নতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।

গ্রামীণ ব্যাংক  লোন নেওয়ার যোগ্যতা

আমরা অনেকেই বিপদে আপদে পড়ে নানান কারণে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা বেশির ভাগ মানুষই বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকি। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। আমাদের মাঝে যে কেউ চাইলেই কি এনজিও থেকে লোন নিতে পারব কি? না পারবেন না।

গ্রামীণ ব্যাংক  থেকে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার মাঝে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। কারণ সঠিক যোগ্যতা না থাকলে গ্রামীণ ব্যাংক  কখনই লোন প্রদান করবে না। তো  চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে-

  • প্রথমত  গ্রামীণ ব্যাংক  হতে লোন নেওয়ার জন্য আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ৬৫ এর মধ্যে হতে হবে।
  • গ্রামীণ ব্যাংক  থেকে লোন নিতে হলে আপনাকে বিবাহিত হতে হবে।
  • আপনি গ্রামীণ ব্যাংক  এর যে শাখা হতে লোন নিবেন অবশ্যই আপনাকে সেই শাখার সদস্য হতে হবে।
  • যেখান থেকে লোন নিবেন সেই অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • আপনি যে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ নিবেন সে শাখার আপনাকে সঞ্চয় এবং জমানত হিসাবে কিছু টাকা জমা রাখতে হবে।
  • গ্রামীণ ব্যাংক  থেকে লোন নিতে হলে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট  থাকতে হবে। যেমন, ভোটার আইডি কার্ড কিংবা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

গ্রামীণ ব্যাংক  লোন পাওয়ার জন্য কাগজপত্র

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র দরকার হয়। এখানে সাধারণত যা লাগতে পারে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি: আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়): জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধনের একটি ফটোকপি জমা দিতে হতে পারে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি: আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন।
  • আয়ের প্রমাণপত্র: আবেদনকারীর আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রমাণ দিতে হবে (যেমন, বেতন স্লিপ, ব্যবসার নথি ইত্যাদি)।
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র: ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল বা অন্য কোনো সরকারি প্রমাণপত্র প্রয়োজন।
  • ব্যবসার নথি (যদি ব্যবসার জন্য লোন প্রয়োজন হয়): ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন সনদ, ব্যবসার আয়ের প্রমাণ ইত্যাদি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আবেদনকারীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ৩ থেকে ৬ মাসের জমা দিতে হতে পারে।
  • লোনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিবরণ: কেন লোন নেওয়া হচ্ছে এবং কীভাবে তা ব্যবহার করা হবে এর একটি স্পষ্ট বিবরণ দিতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক  কত টাকা লোন দিয়ে থাকে?

সাধারণত গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রদান করার ক্ষেত্রে ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে। তবে অনেকেই বেশি টাকা লোন নিতে হলে অনেক ধরনের কাগজ প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন আপনার ব্যাংক একাউন্টের চেক, বাড়ির দলিল ও জমির দলিল ইত্যাদি গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা রাখতে হয়।

গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ সুদের হার

মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পদ্ধতি অনুসারে সুদের হার হলো-

  • ক্ষুদ্রঋণঃ ঋণগ্রহীতাদের সুদের হারঃ ১০% 
  • উচ্চশিক্ষা ঋণঃ পড়াশোনা করার সময় সুদের হারঃ সুদমুক্ত পড়াশোনা শেষ করার পর সুদের হারঃ ১০%
  • কৃষি ঋণেন সুদের হারঃ ৮%
  • অন্যান্য ঋণের হারঃ ১০%

গ্রামীণ ব্যাংক লোন সুবিধা

গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করে, যা বিশেষভাবে দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এ ঋণ সুবিধা গুলো গ্রামীণ ও শহুরে উভয় অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করে। এ পর্যায়ে আমরা জানবো গ্রামীণ ব্যাংক লোন নিতে হলে আমরা কি কি ধরনের সুবিধা পাব তা সম্পর্কে। নিচে গ্রামীণ ব্যাংক  থেকে লোন নিলে যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে তার একটি তালিকা তুলে ধরা হলো-

  • গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনাকে কোন ধরনের প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করতে হবে না।
  • গ্রামীণ ব্যাংক  এর লোন পরিশোধের সময় ১২ মাস হতে ১৮ মাস সর্বোচ্চ।
  • গ্রামীণ ব্যাংক  সহজ শর্তে এবং কম কাগজপত্রে ঋণ প্রদান করে, যা দরিদ্র মানুষদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি সহজতর করে বা লোন ক্ষেত্রে তেমন কোন জটিলতা নেই।

  • বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলার গ্রামীণ ব্যাংক  আপনি খুব সহজেই লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
  • গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত কৃষি,ক্ষুদ্র ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষা, গৃহনির্মাণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে লোন প্রদান করে থাকেন।
  • বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় স্কিম গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা করে থাকেন। যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সঞ্চয় প্রবনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে থাকে।
  • গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের বীমা সেবা প্রদান করে থাকে। এ সব বীমা গুলোর মধ্যে হচ্ছে, জীবন বীমা, ফসল বীমা, স্বাস্থ্য বীমা,পশু বীমা ইত্যাদি।
  • গ্রামীন ব্যাংক লোন গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে থাকেন। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংক নিজেই বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকেন।

গ্রামীণ ব্যাংক ওয়েবসাইট

গ্রামীণ ব্যাংক  কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন লোনের জন্য কাগজপত্র ও যোগ্যতা আলাদা ধরনের হয় থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক  লোন পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সকল তথ্য দেওয়া রয়েছে।

আপনি চাইলে যেকোনো সময় তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের লোন সম্পর্কিত যে কোনে তথ্য জানতে পারবেন এবং আরো অন্যান্য এনজিও সংশ্লিষ্ট কিছু জানতে পারবেন। নিচে লিংকটি কপি করে আপনার মোবাইলের যেকোনো একটি ব্রাউজারে গিয়ে পেস্ট করুন, তাহলে আপনি গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।

গ্রামীণ ব্যাংক ওয়েবসাইট লিংক https://grameenbank.org.bd/

গ্রামীণ ব্যাংক হেড অফিস ঠিকানা

গ্রামীণ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয় মিরপুর- ২, ঢাকা-১২১৬ বাংলাদেশ

যোগাযোগের নম্বর- (হোম) +৮৮০২৫৮০৫৫৬২৮, +৮৮০২৫৮০৫৫৬৫২, (বিদেশে) +৮৮ ০২ ৪৮০৩৩৭৭০

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি-শেষ কথা

আপনারা ইতিমধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার উপায় কি আর কি ধরনের লোন প্রদান করে এবং সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি।

আপনি যদি লোন নিতে ইচ্ছুক হন তাহলে উপরে বর্ণিত সঠিক কাগজপত্র সহকারে আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। পরবর্তীতে আরো এনজিও এবং ব্যাংকের লোন সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url